সেনাবাহিনীতে ভয়ানক যৌন হয়রানির গুরুতর অভিযোগ ইউক্রেনের

নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির পাশাপাশি ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতে ব্যাপক মাত্রায় অনিয়ম ও যৌন নির্যাতন চলছে। ইউক্রেনের উপ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হান্না মালিয়া বিষয়টি স্বীকার করে জানিয়েছেন, একজন নারী সৈনিকের সঙ্গে ‘অগ্রহণযোগ্য’ আচরণের অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ার পরে তিনি যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত সেনা কমান্ডারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার আশ্বাস দিয়েছেন।

মন্ত্রী হওয়ার আগে পেশায় আইনজীবী ছিলেন হান্না মালিয়া। তিনি জানান, তার কাছে যে সমস্ত নারী সৈনিকরা সহায়তা চাইতে এসেছেন তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেনের সেনা কমান্ডাররা নাকি তাদের অধীনস্ত নারী সেনাদের তাদের সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর নির্দেশ দেন। নির্দেশ পালনে অপারগ নারী সেনাদের মানসিক চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় কিংবা তাদের স্বামীদের যুদ্ধে নিহত হওয়ার জন্য ফ্রন্ট লাইনে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

গত সপ্তাহে এক প্লাটুন সার্জেন্ট, নাদিয়া হারান (২৭) গার্ডিয়ানকে বলেছিলেন যে, তিনি সিনিয়র অফিসারদের সামনে বিষয়গুলো উত্থাপন করার পরে তাকে বলা হয়েছিলো মুখ বন্ধ না রাখলে তাকে তার ইউনিট থেকে স্থানান্তরিত করা হবে। নাদিয়া জানান, ‘আমি আমার ব্রিগেড ত্যাগ করেছি কারণ সেনাবাহিনীতে খাদ্য সরবরাহের দায়িত্বে থাকা এক ব্যক্তি ছিলেন যিনি নারীদের নিগ্রহ করতেন এবং আমি ওই নারীদের চিনি। তাদের মধ্যে কয়েকজন আমার অধস্তন। তারাও একই ব্যক্তির দ্বারা হয়রানির শিকার হয়েছিলো যৌন সম্পর্ক স্থাপনে অসম্মত হওয়ার কারণে। আমাকে চুপ থাকতে বলা হয়েছিল কারণ তিনি আমাকে ব্যক্তিগতভাবে হয়রানি করেননি।’

সামরিক বাহিনীতে প্রায় ৬০,০০০ নারী কাজ করছেন, যাদের মধ্যে ৪২,০০০ সৈনিক। এর মধ্যে ৫,০০০ জন ফ্রন্টলাইনে লড়ছেন। গার্ডিয়ানের সাথে কথা বলে, বেশ কয়েকজন নারী সৈনিকরা জানাচ্ছেন সেনাদের ইউনিফর্ম এবং প্রতিরক্ষামূলক বর্মের অভাব রয়েছে। মালিয়া বলেন, সম্প্রতি নারী সৈনিকদের জন্য একটি নতুন ইউনিফর্ম এখন অনুমোদিত হয়েছে, এতদিন চুক্তিটি টেন্ডারের বাইরে ছিল। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।

আপনি আরও পড়তে পারেন